Image: Shutterstock
- গর্ভাবস্থায় জ্বর বলতে কি বোঝায় ?
- গর্ভাবস্থায় জ্বর হওয়ার কারণ
- গর্ভাবস্থায় জ্বর হলে কি শিশুর উপর তার প্রভাব পড়ে ?
- গর্ভাবস্থায় জ্বর সারানোর উপায়
- যদি সর্দি-কাশির জন্য জ্বর হয়,
- গর্ভাবস্থার জ্বরের ওষুধ
- গর্ভাবস্থায় জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়
- গর্ভাবস্থায় জ্বর এড়ানোর জন্য কি কি সাবধানতা মানা উচিত ?
- প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী :
প্রেগন্যান্ট অবস্থায় বা গর্ভাবস্থায় জ্বর হলে খুবই সমস্যার মধ্যে পড়েন মহিলারা। কারণ এই সময় কোনো সেরকম ওষুধও খাওয়া যায় না। তাছাড়া শরীরের নানা ধরণের পরিবর্তন হতেই থাকে। আমাদের এই প্রতিবেদনে গর্ভাবস্থায় জ্বর হলে কি করবেন বা তা ঘরোয়াভাবে কিভাবে কমাবেন, তার সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হল।
গর্ভাবস্থায় জ্বর বলতে কি বোঝায় ?
সুস্থ অবস্থায় দেহের তাপমাত্রা থাকে 96.8 থেকে 98.6 ডিগ্রির এর মধ্যে। যদি গর্ভাবস্থায় দেহের তাপমাত্রা 99 ডিগ্রির থেকে বেশি হয়, তাহলে জ্বর এসেছে বলে ধরা হয়। আর তার সঙ্গে মাথা ব্যাথা, গায়ে হাত পায়ে ব্যাথা, ক্লান্তি এইসব উপসর্গও দেখা যায়।
গর্ভাবস্থায় জ্বর হওয়ার কারণ
গর্ভাবস্থায়, আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায় কারণ এটি আপনার এবং শিশুর উভয়ের সুরক্ষার জন্য অতিরিক্ত কাজ করে। তাই গর্ভাবস্থায় নানা ধরণের সংক্রমণ, সর্দি কাশি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় । তাছাড়া গর্ভাবস্থায় জ্বরের অন্যান্য কারণও থাকতে পারে।
1. ঠান্ডা লাগা
বেশিরভাগ সময়ই জ্বরের সাথে ঠান্ডা লেগে যায়। এর জন্য নাক থেকে জল পড়া, কাশি ও গলা ব্যাথার সম্মুখীন হতে হয়। এইসব উপসর্গগুলি সাধারণত তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে কমে যায়। যদি এগুলি এর থেকে বেশিদিন স্থায়ী হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
পরামর্শ :
এর থেকে বাঁচার জন্য নিজের হাত পা ও ঘর পরিষ্কার রাখুন। আর বাড়িতে যদি কারোর জ্বর হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই তার থেকে দূরে থাকুন।
2. ইনফ্লুয়েঞ্জা
গর্ভাবস্থায় জ্বরের আরও বড় কারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা । ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণের সঙ্গে সম্পর্কিত লক্ষণগুলির মধ্যে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, বমিভাব এবং বমিভাব অন্তর্ভুক্ত। লক্ষণগুলি যদি অনেকদিন স্থায়ী হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
পরামর্শ :
দিনে প্রচুর পরিমানে জল খান ও বিশ্রাম করুন। আর ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন।
3. মূত্রনালীর সংক্রমণ
প্রায় 10% গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভাবস্থায় মূত্রনালীর সংক্রমণ (ইউটিআই বা UTI) ঘটে। ইউটিআই হয় যখন ব্যাকটিরিয়া মলদ্বার বা যোনি থেকে মূত্রাশয় হয়ে মূত্রনালীতে প্রবেশ করে। এটি রক্তাক্ত প্রস্রাব, জ্বর, ঠান্ডা লাগা এবং প্রস্রাবের সময় জ্বলন ভাবের সৃষ্টি করে।
পরামর্শ :
প্রচুর জল পান করুন এবং নির্ধারিত অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করুন। যদি সঠিকভাবে চিকিৎসা না করা হয় তবে এর থেকে কিডনির সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে এবং গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন জটিলতার কারণ হতে পারে।
4. গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল ভাইরাসের আক্রমণ
যখন আপনার শরীরে এই ভাইরাস আক্রমণ করে, তখন জ্বর, বমি, ডায়রিয়া এবং ডিহাইড্রেশন উপসর্গ দেখা দেয় । এই সমস্ত উপসর্গগুলি সময়মতো চিকিৎসা না করা হলে অকালে লেবার পেনের কারণ হতে পারে।
পরামর্শ :
কিছুক্ষণের জন্য স্বস্তি পাওয়ার জন্য আপনি আপেল সস, রুটি, ভাত এবং কলা খেতে পারেন এগুলি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর হতে পারে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন । উচ্চ তাপমাত্রার পাশাপাশি, আপনি যদি রক্ত-বমি এবং ডিহাইড্রেশনজনিত সমস্যা হয় তবে আপনার অবিলম্বে ডাক্তারকে দেখানো উচিত।
5. কোরিওমনিওনাইটিস বা দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব
গর্ভাবস্থায় কোরিওয়ামনিওনাইটিস এক থেকে দুই শতাংশ মহিলাদের মধ্যে হয়ে থাকে। এটি গর্ভস্থ শিশুর চারপাশে থাকা অ্যামনিয়োটিক তরলে ব্যাকটিরিয়ার সংক্রমণ ঘটে এবং সাধারণ লক্ষণগুলি হল দ্রুত হৃৎস্পন্দন, কোমল জরায়ু, যোনি স্রাব, ঘাম, জ্বর এবং ঠান্ডা ভাব অনুভূত করা । যদি গর্ভাবস্থার শেষের দিকে কোরিওয়ামনিয়নাইটিস দেখা দেয় তবে অনেক সময় ডাক্তার গর্ভস্থ শিশুকে কোনও সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে তাৎক্ষণিক সিজারিয়ান পদ্ধতিতে ডেলিভারি করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন (1)।
পরামর্শ :
আপনার ডাক্তার কিছু অ্যান্টিবায়োটিক দেবেন যা প্রসবের পরেও অন্য কোনো সংক্রমণ রোধ করবে।
6. পারভোভাইরাস বি 19
ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর মতে, মাত্র পাঁচ শতাংশ গর্ভবতী মহিলাই এই বিরল সংক্রামক রোগের শিকার হয়ে থাকেন । এর সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে ফুসকুড়ি, জয়েন্টগুলিতে ব্যথা, মাথাব্যথা, গলা ব্যথা এবং জ্বর অন্তর্ভুক্ত। পারভোভাইরাস জন্য ভ্রূণের গর্ভপাত, ভ্রূণের রক্তাল্পতা, হার্টের প্রদাহের মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে (2) ।
7. লিস্টেরোসিস
দূষিত জল এবং খাবার গ্রহণ করলে লিস্টেরোসিস হয়। জ্বর, বমি বমি ভাব, পেশী ব্যথা, ডায়রিয়া, মাথা ব্যথা, ঘাড়ে বা খিঁচুনি এগুলি হল এই রোগের উপসর্গ। যদি এর সঠিক চিকিৎসা না করা হয় তবে এটি অকাল প্রসব এবং গর্ভপাতের মতো মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে (3)।
পরামর্শ :
সম্পূর্ণ সেদ্ধ করা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
গর্ভাবস্থায় জ্বর হলে কি শিশুর উপর তার প্রভাব পড়ে ?
গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকের কম জ্বর হলে সাধারণত কোনও রকম সমস্যার সৃষ্টি হয় না, তবে উচ্চ তাপমাত্রা হলে আপনার শিশুর জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ প্রাথমিক পর্যায়ে ভ্রূণের বিকাশ প্রোটিনের ক্রিয়াকলাপের উপর নির্ভরশীল যা তাপমাত্রার সংবেদনশীল। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বৃদ্ধি পেলে অর্থাৎ 98.6 থেকে 102 ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেলে এটি প্রোটিনের কার্যকারিতাকে বাধা দেয় এবং গর্ভপাত ঘটতে পারে।
একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে জ্বর হলে গর্ভস্থ শিশুদের মধ্যে ওরাল ক্লেফ্টস বা ঠোঁট কাটা অবস্থায় বাচ্চা জন্মানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তবে অ্যান্টিপাইরেটিক্স (জ্বর কমাতে ওষুধ) ব্যবহার এই ক্ষতিকারক প্রভাবের সম্ভাবনা কমাতে পারে (4)।
তৃতীয় ত্রৈমাসিকে যদি কোনো গর্ভবতী মহিলার জ্বর হয়ে থাকে তাহলে তা সাধারণত কোনো সমস্যা দেখা দেয় না। যদি জরায়ু সংক্রান্ত কোনো সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
গর্ভাবস্থায় জ্বর সারানোর উপায়
গর্ভবস্থায় জ্বর হলে শীঘ্রই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন ও ডাক্তার যদি বলেন এটি সাধারণ জ্বর ভয়ের কোনো কারণ নেই, তাহলে জ্বর কমানোর জন্য নিচে উল্লেখিত উপায়গুলি পালন করতে পারেন।
1. শীতল জায়গায় থাকুন
বাতাস পূর্ণ জায়গায় থাকুন। একটি ওভারহেড বা স্ট্যান্ড ফ্যান চালু করুন এবং বিশ্রাম করুন।
2. আরামদায়ক পোশাক পড়ুন
সুতির কাপড় সঠিক বায়ু সঞ্চালনে সহায়তা করে, তাই সুতির জামা পড়ার চেষ্টা করুন । আপনি যদি শীত অনুভব করেন তবে চাদর দিয়ে নিজেকে ঢেকে রাখুন।
3. স্পঞ্জ স্নান
ঈষৎ উষ্ণ জলে স্পঞ্জ করে স্নান করুন । এটি আপনার তাপমাত্রা হ্রাস করতে সহায়তা করে। ঠান্ডা জলের ব্যবহার করবেন না।
4. প্রচুর জল পান করুন
প্রচুর পরিমাণে তরল গ্রহণ করুন। অ-কার্বনেটেড তরল যেমন ইলেক্ট্রোলাইট জাতীয় পানীয় পান করতে পারেন। লেবুর রসও খেতে পারেন। এতে দেহের তাপমাত্রা হ্রাস পায় এবং হারানো গ্লুকোজ এবং ইলেক্ট্রোলাইটগুলি ফিরে পেতে সহায়তা করে।
5. বিশ্রাম করুন
শরীরকে বিশ্রাম দিন। এতে জ্বরে মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হওয়া এবং হোঁচট খাওয়ার ঝুঁকি কমায়।
6. গরম বা ঠাণ্ডা প্যাক
আপনি ওষুধের দোকান থেকে গরম এবং ঠান্ডা প্যাকগুলি কিনে আনতে পারেন। মসলিনের কাপড়ে বা ফয়েলে বরফ মুড়ে জ্বর কমাতে সরাসরি কপালে লাগাতে পারেন।
যদি সর্দি-কাশির জন্য জ্বর হয়,
- আপনার নাকটি ভালো করে পরিষ্কার করুন। তাতে অনেক স্বস্তিবোধ করবেন।
- নাক বন্ধ হলে নুন জলের ভাপ নিন। এটি নাক থেকে ভাইরাস এবং ব্যাকটিরিয়া কণা সরাতে সহায়তা করে। এক-চতুর্থাংশ চামচ নুন , অল্প বেকিং পাউডার এবং উষ্ণ জল মিশিয়ে নিন এবং ভাপ নিন ।
- গার্গল গলাকে স্বস্তি এনে দেয়। আধা চা চামচ লবণের সাথে অল্প গরম জল মিশিয়ে গার্গল করুন। এটি দিনে চারবার করুন। আপনি মধু ও আপেল সিডার ভিনেগার দিয়ে গার্গল করতে পারেন।
- আদা এবং ভেষজ চা জাতীয় গরম পানীয় পান করুন।
- ঘুমানোর সময় উঁচু বালিশ বা দুটি বালিশ নিয়ে নিন, এতে সর্দি কাশির সময় নাকের সমস্যা একটু কম হয়।
- বিমান ভ্রমণ করবেন না। গর্ভাবস্থায় প্লেনে ভ্রমণ নিরাপদ নয়, বিশেষ করে আপনার যদি জ্বর, সর্দি কাশি হয়। আপনাকে যদি জরুরি কোনো কারণে এই অবস্থায় ভ্রমণ করতে হয় তবে নাকের স্প্রে বহন করুন ও ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।
- বাস্প মিশ্রিত জলে স্নান করতে পারেন, তাতে আরাম পাবেন।
- এই সময় কি কি খাবেন নিচে উল্লেখ করা হল –
- ভিটামিন সি যুক্ত খাবার
- সহজ পাচ্য খাবার
- পেয়াঁজ খাওয়া উচিত কারণ এতে ফাইটোকেমিক্যালস উপস্থিত
- গ্রীন টি
- রসালো ফল।
গর্ভাবস্থার জ্বরের ওষুধ
উপরে উল্লেখিত উপায়গুলির পাশাপাশি আপনি গর্ভাবস্থায় জ্বরের চিকিৎসার জন্য কিছু ঘরোয়া প্রতিকার করে দেখতে পারেন কারণ এই সময় ডাক্তার অল্প বা সাধারণ জ্বরের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক দেন না কারণ যে কোনো অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। তাই প্যারাসিটামল ধরণের ওষুধ দিয়ে থাকেন।
গর্ভাবস্থায় জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়
- ঈষৎ উষ্ণ জলে হাফ কাপ ভিনিগার দিয়ে তা মিশিয়ে নিয়ে স্নান করতে পারেন।
- এক কাপ গরম জলে অল্প তুলসী পাতা ফেলে দিন ও দুই থেকে তিন মিনিট রেখে সেই জল পান করুন।
- কাঁচা পেয়াঁজ পায়ের তলায় রেখে একটি কাপড় বেঁধে দিন রাতে ঘুমানোর সময়। রাতে গায়ে চাদর চাপা দিয়ে ঘুমান।
- একটি সুতির কাপড় নিয়ে কপালে জলপট্টি দিন। সম্ভব হলে ওই জলে অল্প ভিনিগার মিশিয়ে নিন।
- এক কাপ গরম জলে এক চা চামচ গোটা সর্ষে ভিজিয়ে রাখুন। পাঁচ মিনিট পর ছেঁকে জলটি পান করুন।
- দুটি রসুনের কোয়া কুচিয়ে নিন। একটু অলিভ অয়েল নিয়ে তাতে রসুনের কুচি ফেলে গরম করে নিয়ে পায়ের তলায় ওই তেল লাগিয়ে নিন এবং কাপড় দিয়ে পা জড়িয়ে রাখুন। এটি জ্বর কমাতে সাহায্য করে।
- একটি আলু কেটে টুকরো করে ভিনিগারে ডুবিয়ে রাখুন। এবার তুলে নিয়ে তা কপালে দিয়ে একটি কাপড় চাপা দিয়ে দিন। কুড়ি মিনিটে জ্বর কমে যেতে পারে।
- কুড়ি থেকে পঁচিশটি কিশমিশ কুঁচি করে জলে ডুবিয়ে রাখুন এবং কিছুক্ষন ভিজতে দিন। তারপর সেই জল নিয়ে অল্প পাতিলেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
এইসব ঘরোয়া উপায় মানার পরও যদি জ্বর না কমে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
গর্ভাবস্থায় জ্বর এড়ানোর জন্য কি কি সাবধানতা মানা উচিত ?
- বাড়িতে কারোর শরীর খারাপ হলে তাকে এড়িয়ে চলুন।
- বার বার হাত ধোবেন।
- আনপাস্তুরাইজেড দুধ খাবেন না।
- গর্ভাবস্থায় নিজে নিজে কোনো ওষুধ খাবেন না।
গর্ভাবস্থার পুরো সময়ই ডাক্তারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন। আর জ্বরের কোনো লক্ষণ থাকলে কখনোই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে দেরি করবেন না। নিজের যত্ন করুন ও সুস্থ থাকুন।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী :
১. গর্ভাবস্থায় হে জ্বরের চিকিৎসা কি ?
উঃ এই ধরণের জ্বরে নানা রকম অ্যালার্জি দেখা যায়। তাই গর্ভাবস্থায় জ্বর হলে শীঘ্রই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
২. গর্ভাবস্থায় গ্ল্যান্ডুলার জ্বর হলে কি ঝুঁকিপূর্ণ ?
উঃ হ্যাঁ অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে কারণ এটি সংক্রামক, এটি সাধারণত গর্ভস্থ বাচ্চার ক্ষতি করে না । তাই না দেরি করে কোনো উপসর্গ দেখা দিলেই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
৩. গর্ভাবস্থায় ডেঙ্গু জ্বরের ঝুঁকি কী কী?
উঃ গর্ভাবস্থায় ডেঙ্গু জ্বর হলে হাসপাতাল বা নার্সিং হোমে ভর্তি হওয়া উচিত। এ বিষয়ে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।
References:
2. Fifth Disease by Centres for Disease Control and Prevention
3. Listeriosis in Pregnancy: Diagnosis, Treatment, and Prevention by NCBI
4. Maternal fever during early pregnancy and the risk of oral clefts by PubMed.gov