Image: Shutterstock
প্রত্যেক নারীই তার গর্ভবস্থার সুন্দর সময়টিকে সারা জীবন স্মৃতির মণিকোঠরে আগলে রাখতে চায়। কিন্তু অনেকের জীবনেই এই সময় গর্ভস্রাবের বা মিসক্যারেজের সম্মুখীন হতে হয়, যা অত্যন্ত কষ্টের ও বেদনাদায়ক। তাই এই সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন যাতে আপনি এটি সঠিকভাবে প্রতিরোধ করতে পারেন।
গর্ভস্রাব কী?
গর্ভাবস্থার 20 সপ্তাহের মধ্যে যদি গর্ভজাত সন্তান গর্ভে নষ্ট হয়ে যায় , তাহলে সেটিকে গর্ভস্রাব বা মিসক্যারেজ বলা হয়। যেকোনো দম্পতির ক্ষেত্রেই মিসক্যারেজ ব্যাপারটি খুবই দুঃখজনক এবং মেনে নেওয়াও কঠিন। তবে এই ঘটনার পিছনে কোনো না কোনো কারণ তো থাকবেই। জানা যায় 25 %গর্ভাবস্থাই নিজে থেকে নষ্ট হয়ে যায় অর্থাৎ মিসক্যারেজে পরিণত হয়। তার মধ্যে 80% প্রেগন্যান্সিই গর্ভধারণের 12 সপ্তাহের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। তাই গর্ভাবস্থার দিন যত বাড়বে গর্ভস্রাবের সম্ভাবনা ততই কমবে। সেই জন্যই প্রত্যেক গর্ভবতী মহিলার উচিত গর্ভাবস্থার
প্রথম দিকে নিজের যত্ন নেওয়া, তবেই গর্ভাবস্থা সুখের হবে।
কত ধরণের হয় গর্ভস্রাব বা মিসক্যারেজ ?
আট ধরণের গর্ভস্রাব দেখা যায় (1) –
- থ্রেটেন্ড মিসক্যারেজ
এই ধরণের মিসক্যারেজে গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে জরায়ু থেকে রক্তপাত হতে শুরু করে তার সঙ্গে শিরায় টান ধরা ও পিঠে ব্যথা হয়। এই সময় সারভিক্স অর্থাৎ জরায়ুর গ্রীবা বন্ধ থাকে।
- ইনকমপ্লিট মিসক্যারেজ
এই সময় সারভিক্স খোলা অবস্থায় থাকে এবং তলপেটে ও পিঠে ব্যথা হতে শুরু করে। জরায়ু সম্প্রসারিত হলে জরায়ুতে উপস্থিত মেমব্রেন বা ঝিল্লির ওপর চাপ পড়ে ও এগুলি ফেটে গিয়ে যোনি থেকে রক্তপাত শুরু হয়।
- কমপ্লিট মিসক্যারেজ
এই ধরণের মিসক্যারেজে জরায়ুতে থাকা ভ্রূণ পুরোপুরি নষ্ট হয়। এক্ষেত্রে রক্তপাত তাড়াতাড়ি কমে যায় ও ব্যথাও কম হয়। তবে গর্ভস্রাব ঠিক ভাবে হয়েছে নাকি আপনাকে অবশ্যই আলট্রাসনোগ্রাফি করাতেই হবে।
- মিসড মিসক্যারেজ
মিসড মিসক্যারেজে বেশিরভাগ সময় গর্ভবতী মহিলা বুঝতেই পারেন না যে তার গর্ভস্রাব হয়েছে, কারণ ভ্রূণের মৃত্যু হলেও কোনো রকম প্রতিক্রিয়া হয় না। এই ধরণের মিসক্যারেজ কেন হয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
- রিকারেন্ট মিসক্যারেজ
যদি কোনো মহিলার পর পর তিন বার মিসক্যারেজ হয়েছে, তিনটিই হয়েছে গর্ভবতী হওয়ার তিন মাসের মধ্যে, তাহলে সেই মহিলার ক্ষেত্রে এই ধরণের গর্ভস্রাব হতে পারে।
- ব্লাইটেড ওভাম
এক্ষেত্রে নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুতে প্রবেশ করলেও তার বিকাশ শুরু হয় না।
- এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি
এই ধরণের প্রেগন্যান্সিতে নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুতে প্রবেশ না করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফ্যালোপিয়ান টিউবে প্রবেশ করে ও তার বিকাশ শুরু করে। এক্ষেত্রে এই বিকাশ বন্ধ করতে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার প্রয়োজন তা নাহলে ঐ মহিলার অনেক ধরণের সমস্যা হতে পারে।
- মোলার প্রেগন্যান্সি
মোলার প্রেগন্যান্সিতে জরায়ুর মধ্যে অস্বাভাবিক ভাবে কিছু টিস্যু দেখা যায়। এটি গর্ভবতী মহিলার জেনেটিক কোনো ধরণের সমস্যা থাকলে দেখা যায়।
মিসক্যারেজ কি খুবই একটি সাধারণ ব্যাপার ?
অনেকেই জীবনে মিসক্যারেজ নামক দুঃস্বপ্নের সম্মুখীন হন। কিন্তু কেউ একাধিকবার গর্ভস্রাবের সম্মুখীন হলে মা, বাবা-সহ পরিবারের সব সদস্যের মনের উপরই খুবই প্রভাব পড়ে। তাই পুনরায় গর্ভবতী হওয়ার আগে কেন বারবার মিসক্যারেজ হচ্ছে তা জানতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সবরকম টেস্ট করা অত্যন্ত জরুরি। সাধারণত একাধিকবার গর্ভস্রাব হওয়ার পিছনে বিভিন্ন ধরণের কারণ থাকতে পারে। যেহেতু এই টেস্টগুলি খরচসাপেক্ষ তাই অন্তত দুবার গর্ভপাত না হলে এগুলি করার পরামর্শ দেওয়া হয় না।
গর্ভস্রাবের লক্ষণ
গর্ভস্রাবের লক্ষণ সবার ক্ষেত্রে সমান হয় না কারণ এটি প্রেগন্যান্সির ঠিক কোন সময় হচ্ছে তার ওপর কিছুটা নির্ভর করে (2) । অনেক সময় হয় যে সেই গর্ভবতী মহিলা বুঝতেই পারেন না যে তিনি গর্ভবতী তার আগেই তার মিসক্যারেজ হয়ে যায়।
নিচে কিছু লক্ষণ উল্লেখ করা হল –
- যোনি থেকে রক্তপাত
- বেশি রক্তপাত
- যোনি থেকে ফ্লুইড বেরোনো
- তলপেটে অসহ্য ব্যথা ও শিরায় টান ধরা
- অল্প বা বেশি পিঠে ব্যাথা।
এই ধরণের যদি লক্ষণ কোনো গর্ভবতী মহিলার মধ্যে প্রকাশ পায়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে শীঘ্রই যোগাযোগ করা উচিত। এটাও সম্ভব যে এইসব লক্ষণ প্রকাশ পেলেও মিসক্যারেজ ঘটেনি। তাই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা অবশ্যই প্রয়োজন।
গর্ভস্রাবের কারণ
কিছু কিছু জিনিস আছে যা গর্ভস্রাবের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। যদি আপনার প্রেগন্যান্সিতে প্রতিবার সমস্যা আসছে তাহলে ডাক্তার তখন কিছু নির্দিষ্ট টেস্ট করতে বলবেন, যার দ্বারা এর সঠিক কারণ জানা সম্ভব হবে।
প্রেগন্যান্সির সময় আপনার শরীরই আপনার গর্ভে বেড়ে ওঠা ভ্রূণকে খাদ্য জোগান দেয়। বেশিরভাগ ট্রাইমেস্টার মিসক্যারেজের ক্ষেত্রে এই খাদ্য ঠিকভাবে পৌঁছতে পারেনা ঐ ভ্রূণের কাছে, তাই ভ্রূণের স্বাভাবিক বিকাশ হতে পারে না। নিচে মিসক্যারেজ ঘটার কিছু সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করা হল (2) ।
জেনেটিক অসুবিধা
ক্রোমোজোমের মধ্যে থাকে বংশগতির একক জিন। একটি গর্ভস্থ ভ্রূণে মায়ের থেকে একটি ক্রোমোজোমের সেট ও আরেকটি বাবার থেকে আসে।
এই ক্রোমোজোমের অস্বাভাবিকতার জন্য কিছু অসুবিধা দেখা দেয়।
- ইন্ট্রাইউট্রিন ফেটাল ডিমাইস
যখন গর্ভস্থ ভ্রূণের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায় এবং এক্ষেত্রে অনেকসময় গর্ভস্রাবের কোনোরকম লক্ষণ দেখা যায় না।
- ব্লাইটেড ওভাম
ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার পর জরায়ুতে প্রবেশ করলেও তার বৃদ্ধি হয় না।
- মোলার প্রেগন্যান্সি
এক্ষেত্রে মায়ের থেকে কোনো ক্রোমোজোম আসে না, দুটি সেটই বাবার থেকে আসে এবং ভ্রূণের কোনোরকম বৃদ্ধি হয় না।
- পার্শিয়াল মোলার প্রেগন্যান্সি
এক্ষেত্রে মায়ের থেকে একটি ক্রোমোজোম আসে এবং বাবার থেকে দুটি ক্রোমোজোম আসে।
জীবনধারার পরিবর্তন
আজকাল মানুষের এই ব্যস্ত জীবনে কিছু অভ্যাস গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভস্থ ভ্রূণের বৃদ্ধিতে অসুবিধার সৃষ্টি করে এবং যার ফলে মিসক্যারেজের সম্মুখীন হতে হয়। কোনো গর্ভবতী মহিলা ব্যায়াম করলে বা শারীরিক ভাবে মিলিত হলে তার গর্ভস্রাব হওয়া সম্ভব না। কাজকর্মে ব্যস্ত থাকলেও মিসক্যারেজ হয় না, যদি না তিনি কোনো ক্ষতিকর কেমিক্যাল বা বিকিরণের সংস্পর্শে না আসেন।
যেসব অবস্থা ভ্রূণের বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে –
- অনুপযুক্ত ডায়েট ও অপুষ্টি
- ড্রাগ এবং অ্যালকোহলের ব্যবহার
- গর্ভবতী মহিলার বয়স বেশি হলে
- থাইরয়েডের সঠিক চিকিৎসা না হলে
- হরমোনের সমস্যা
- অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস
- যেকোনো ধরণের সংক্রমণ
- মানসিক আঘাত বা সমস্যা
- ওবিসিটি
- জরায়ুর সমস্যা
- অস্বাভাবিক আকারের জরায়ু
- মারাত্মক উচ্চ রক্তচাপ
- খাদ্যে বিষক্রিয়া
- কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ খেলে।
অবশ্যই প্রেগন্যান্সির সময় কোনো ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।
গর্ভস্রাব রোধ করার উপায়
যদিও গর্ভস্রাব সাধারণত প্রতিরোধ করা যায় না, তবে আপনি এ ব্যাপারে কয়েকটি স্বাস্থ্যকর সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন গর্ভধারণের পর (3)।
- প্রচুর ফলিক অ্যাসিড এবং ক্যালসিয়াম যুক্ত সঠিক খাবার খান।
- ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খান।
- ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার পরই ব্যায়াম শুরু করুন।
- শরীরের ওজন ঠিক রাখুন।
- ড্রাগ এবং অ্যালকোহল বর্জন করুন।
- প্রসেসড খাবার এড়িয়ে চলুন।
- ধূমপান করবেন না।
- ক্যাফিন জাতীয় খাদ্য বা পানীয় এড়িয়ে চলুন।
- তলপেটে চাপ পড়তে পারে এইরকম কাজ এড়িয়ে চলুন।
- ডাক্তারের সঙ্গে সর্বদা যোগাযোগ বজায় রাখুন।
- কোনোরকম শারীরিক অসুস্থতা যেমন জ্বর, তলপেটে ব্যথা, রক্তপাত হলে শীঘ্রই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
গর্ভস্রাব নির্ণয় ও চিকিৎসা
গর্ভস্রাবের লক্ষণগুলি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরই আপনার ডাক্তার কিছু টেস্ট করতে দেবেন । তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল HCG রক্ত পরীক্ষা। এক্ষেত্রে অন্যান্য পদ্ধতিগুলির নাম হল – শ্রোণির পরীক্ষা, ভ্রূণের হৃদযন্ত্রের আল্ট্রাসাউন্ড এবং স্ক্যান করা। তাই মিসক্যারেজ হলে আল্ট্রাসাউন্ড করলে বোঝা যায় যে গর্ভ থলির বিকাশের অভাব, ভ্রূণের হৃদস্পন্দনের অভাব, আকারে 5 মিলিমিটারের থেকেও বড় হয়েও ভ্রূণের মধ্যে হৃদস্পন্দন নেই ঠিক কোনটা হচ্ছে ।গর্ভস্রাব শণাক্ত করতে ট্রাইমেস্টারের পরবর্তী অংশে গর্ভস্থ ভ্রূণের হার্ট মনিটর করা হয় । গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে ভ্রূণের হৃদস্পন্দন না পাওয়া গর্ভস্রাবের ইঙ্গিত নাও হতে পারে।
মিসক্যারেজের চিকিৎসা পুরোপুরি নির্ভর করে মিসক্যারেজের ধরণের ওপর। যদি আপনার কমপ্লিট মিসক্যারেজ হয় তাহলে চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে না অনেক সময়। প্রেগন্যান্সির কোনোরকম টিস্যু যদি থেকে যায় আপনার শরীরে তবে চিকিৎসার জন্য কিছু পদ্ধতি মেনে চলা হয় (4) ।
- এক্সপেক্টট্যান্ট ম্যানেজমেন্ট
শরীর থেকে প্রাকৃতিকভাবে অবশিষ্ট টিস্যুগুলি বেরিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা হয়।
- মেডিকেল ম্যানেজমেন্ট
মিসক্যারেজ হওয়ার পর শরীর থেকে অবশিষ্ট টিস্যুগুলি বের করার জন্য ওষুধের সাহায্য নিতে হয়।
- সার্জিকাল ম্যানেজমেন্ট
গর্ভস্রাব ঘটার পর শরীর থেকে অবশিষ্ট টিস্যুগুলি বের করার জন্য অপারেশনের দরকার পড়ে।
এই তিন ধরণের চিকিৎসায় ভয়ের সম্ভাবনা কম থাকে। তাই গর্ভস্রাবের সম্মুখীন হলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে এক্ষেত্রে কোন পদ্ধতিটি আপনার জন্য সঠিক বেছে নিন।
গর্ভস্রাবের পরে সাবধানতা
কোনো মহিলার মিসক্যারেজের পর তার সম্পূর্ণভাবে সেরে ওঠা অনেকটা নির্ভর করে তিনি কতদিন গর্ভবতী ছিলেন তার ওপর। গর্ভস্রাব ঘটার পরও অনেক সময়ই অল্প অল্প যোনি থেকে রক্তপাত ও তলপেটে অস্বস্তি হয় (2)।
একজন মহিলা গর্ভবতী থাকার সময় রক্তে যেসব হরমোন তৈরী হয়, তা মিসক্যারেজ হওয়ার কিছু মাস পরেও তার শরীরে থেকে যেতে পারে। সাধারণত মিসক্যারেজের চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে পিরিয়ড শুরু হওয়া উচিত। কমপক্ষে গর্ভস্রাবের দুই সপ্তাহ পর থেকে শারীরিক ভাবে মিলিত হওয়া এবং ট্যাম্পন ব্যবহার করা উচিত নয়।
গর্ভস্রাব সম্পর্কে কিছু তথ্য
মিসক্যারেজের পর গর্ভধারণের চেষ্টা করা যদিও খুবই কঠিন কিন্তু এক্ষেত্রে অবশ্যই আশা রাখা উচিত।
মনে রাখবেন
- একবার গর্ভস্রাব ঘটে যাওয়ার অর্থ কখনই এই নয় যে পুনরায় গর্ভবতী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা আপনার আর নেই।
- যদি পুনরায় আবার গর্ভবতী হওয়ার চেষ্টা করার জন্য আপনি নিজেকে যদি প্রস্তুত বলে মনে করেন, তবে আপনার নেওয়া সিদ্ধান্তের সাথে আপনার এগিয়ে চলুন এবং ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিন।
- গর্ভস্রাবের পর পুনরায় গর্ভবতী হয়ে ওঠা সম্ভব এবং এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনার সঙ্গীর সাথে এ বিষয়ে কথা বলা উচিত।
- ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার পর যখন আপনি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেন তখন পুনরায় গর্ভধারণ করুন।
গর্ভস্রাব হওয়ার কমপক্ষে কতদিন পরে আবার আপনি গর্ভাধারণ করতে পারবেন ?
আপনি যদি প্রস্তুত থাকেন তাহলে গর্ভস্রাবের 2 সপ্তাহ পরেই গর্ভধারণ করতে পারেন কিন্তু পরিসংখ্যান বলে যে আপনি যদি মিসক্যারেজের 6 মাস পরে গর্ভধারণ করেন তাহলে সেটি সফল হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশী থাকে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না কিন্তু।
References:
2. Miscarriage signs by Healthline
3. Miscarriages by KidsHealth
4. Miscarriage treatment by Healthline