
Image: Shutterstock
আপনি আপনার ছোট্টটিকে জন্ম দেওয়ার সাথে সাথেই আপনার মনে হতে শুরু করবে যে এটি আপনার দ্বিতীয় জীবনের শুরু। যে মুহুর্তে আপনি ওকে প্রথমবার নিজের কোলে নেবেন আপনার মনে নানা আবেগের সৃষ্টি হবে যা আপনি আগে কখনও অনুভব করেন নি। এর আরও একটি দিক রয়েছে যার জন্য কেউ প্রস্তুত হয় না আগে থেকে। প্যারেন্টিং কথার অর্থ হল নানা ধরণের দায়িত্ব । আপনি যতই প্রস্তুতি নিয়েছেন এ ব্যাপারে, তার প্রায় অর্ধেকই দেখছেন কাজে লাগছে না। আপনার নবজাতকের যত্ন নেওয়ার সময় আপনি যে কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারেন তা আপনাকে ভাবিয়ে তুলবে । আমরা মমজাংশনের পক্ষ থেকে আপনাকে এই নিয়ে কিছু টিপস এবং পরামর্শ দেব, যা আপনার এই সময়ে কাজে আসতে পারে।

১. বাচ্চার দেহের ভাষা বোঝার চেষ্টা
Image: Shutterstock
প্রত্যেক মানুষেরই তাদের চারপাশের জগতের সাথে যে প্রথম যোগাযোগ হয় তা অ-মৌখিকই হয়। সুতরাং, বাচ্চারা সরাসরি ডায়াপার পরিবর্তনের জন্য আপনাকে জিজ্ঞাসা করবে না, তবে তারা তাদের দেহের ভাষার সাথে বুঝে নিতে হবে । উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি একই সাথে বাচ্চাকে চোখ ঘষতে এবং হাই তুলতে দেখেন তবে এটি ক্লান্তি নির্দেশ করে । তবে, যেহেতু শিশুরা যখন কোনও কিছুর প্রয়োজন হয় তখন কান্নাকাটি করে, আপনি প্রায়শই ভুল বুঝতেই পারেন। সময়ের সাথে সাথে যখন এই বন্ধন আরও দৃঢ় হয়, আপনি তার ইঙ্গিত বুঝতে শুরু করবেন।
২. বাচ্চারা খিদে পাচ্ছে নাকি ?
Image: Shutterstock
বেশিরভাগ বাবা-মা তাদের বাচ্চার সুস্থতার জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে থাকেন। এর ফলে তারা তাদের ছোট্ট সোনা পর্যাপ্ত পরিমাণে খাচ্ছে কিনা তা নিয়ে চিন্তিত থাকেন। তবে, এটি জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে বাচ্চারা তারা যে ক্ষুধার্ত তা বোঝাতে নিজস্ব উপায়ে যোগাযোগ করে। সুতরাং, তারা যদি খাবারের জন্য কাঁদে, তাদের খাওয়ান। তবে, যদি তারা অস্বীকার করে খেতে তবে জোর করবেন না, ও হয়তো অন্য কিছু ইঙ্গিত করেছে। তবে, আপনার বাচ্চা যদি কখনোই খেতে না চায় বা তার মধ্যে অদ্ভুত কিছু লক্ষ্য করেন তবে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
৩. আপনার ছোট্টটিকে সঠিক ভাবে ঘুম থেকে তুলুন
Image: Shutterstock
যদি কোনও কারণে আপনার নবজাতককে জাগানো দরকার হয় তবে তাকে নাড়িয়ে ঘুম থেকে তুলবেন না। হঠাৎ হওয়া এই ঝাঁকুনিতে বাচ্চার মস্তিষ্কে রক্তপাতের সৃষ্টি করতে পারে । সুতরাং, আপনি যখন তাকে জাগানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাকে সুড়সুড়ি দিন ।
৪. গান আপনার শিশুকে শান্ত করতে সহায়তা করতে পারে
Image: Shutterstock
অনেকে দাবি করেন যে, গান নাকি বাচ্চাদের আরও স্মার্ট করে তুলতে সাহায্য করে। গবেষনায় জানা গেছে, গান শিশুর উপর প্রশংসনীয় প্রভাব ফেলতে পারে এবং তাদের শান্ত করে। তাই আপনার বাচ্চাকে নানা ধরণের গান শোনান ছোট্ট থেকেই, এতে আপনার মনও ভালো থাকবে।
৫. দাঁতের স্বাস্থ্যের ওপর নজর দিন
Image: Shutterstock
অবশ্যই নবজাতকের দাঁত নেই। তবে, তবে এর অর্থ এই নয় যে আপনার তার দাঁতের স্বাস্থ্যের ওপর নজর রাখবেন না । আপনার ছোট্টটি মাড়ি পরিষ্কার রাখুন। মাড়ি পরিষ্কার করতে একটি ভেজা ও নরম কাপড় ব্যবহার করুন। মনে রাখবেন যে, শিশুর দাঁত হওয়ার প্রথম থেকেই কিন্তু পোকা হতে শুরু করতে পারে।
৬. বাচ্চাকে ঘুমানোর পরে বিছানায় রাখার চেষ্টা করবেন না
Image: Shutterstock
বাবা-মা বাচ্চাকে ঘুম পাড়িয়ে তারপর গিয়ে খাটে শুইয়ে দেন। তবে, এটি করা উচিত না, হালকা হালকা যখন ঘুম পাচ্ছে বাচ্চার তখনই খাটে শুইয়ে দেওয়া উচিত। এতে বাচ্চার নিজে নিজে ঘুমানোর অভ্যেস তৈরি হয় কারোর সাহায্য ছাড়াই।
এ সম্পর্কে আপনার কি অন্য কোনও পরামর্শ রয়েছে যা আপনি সবার সাথে ভাগ করে নিতে চান? তাহলে নীচে মন্তব্য বিভাগে আমাদের সাথে শেয়ার করুন!
Community Experiences
Join the conversation and become a part of our nurturing community! Share your stories, experiences, and insights to connect with fellow parents.



















