ছোটো থেকেই সন্তানকে সাবলম্বী করে তোলার পাঁচটি উপায় জানুন

সন্তানকে ছোটোবেলা থেকে সাবলম্বী করে তুলতে হবে এ আবার কি কথা তাই ভাবছেন তো ? তাহলে শুনুন সন্তানকে আগলে নয় তাকে নিজের মতো বেড়ে ওঠার সুযোগ দিন তবে এর মানে এই নয় যে আপনি তাকে কোনোদিন শাসনই করলেন না, তাহলে কিন্তু এর ফল ভালো হবে না | ছোটো থেকেই সন্তানকে বেশি আগলে রাখবেন না বা খুব বকাবকি বা গায়ে হাত তুলবেন না |

সব বাচ্চারই একটু বড়ো হওয়ার পর থেকেই স্বাধীনতার আকাঙ্খা বাড়তে থাকে। এই সময়ে বাচ্চারা নিজে প্রায় সব ধরণের কাজ করতে উৎসাহী হয়ে ওঠে যেমন নিজে স্নান করব বা নিজে নিজে খাবো। এই উৎসাহকে অনেক অবিভাবকই ধমক দিয়ে উড়িয়ে দেন, এটি করা একদম ঠিক নয়।  আমরা জানি আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতিতে ছোটো থেকে বাচ্চাদের নিজের মতো করে বাঁচতে দেওয়া হয় না, আবার অনেক সময় বাবা মা তাদের ইচ্ছেও বাচ্চাদের ওপর চাপিয়ে দেয়। ফলে ভবিষ্যতে নানা সমস্যার মুখে পড়তে হয় সেই বাচ্চাকে। তাই আপনার বাচ্চা যাতে ছোটো থেকেই সাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে আমাদের এই নিবন্ধে তার জন্য কিছু আদর্শ টিপস নিচে উল্লেখ করা হল।

In This Article

প্রয়োজনীয়তা বুঝতে শেখান

ছোটো থেকেই বাচ্চাকে তার কোন জিনিসের প্রয়োজন এবং কোন জিনিসের প্রয়োজন নেই, সেটি বুঝতে শেখান। যদি বাচ্চা অহেতুক কোনো জিনিস পাওয়ার জেদ করে তাহলে তা দেবেন না , বরং তাকে বোঝান সেটি এখন তার দরকার নেই। তবে কখনও কখনও বাচ্চাকে সারপ্রাইজ গিফট দিন, এতে দেখবেন আপনার বাচ্চা খুব খুশি হবে, তবে কোনো দামি জিনিস দেবেন না কিন্তু।

সবকিছু বুঝতে শেখান

অনেক বাচ্চাই বাবা বা মা কাজে বেরোলে কান্নাকাটি শুরু করে।  বিশেষ করে মা কাজে বেরোলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তাই আপনার সন্তানকে বোঝাতে হবে যে বাবা বা মা দুজনকেই কাজের সূত্রে বেরোতে হবে , তাই তাকে নিজের কাজ নিজেকে করতে হবে এবং তার পাশাপাশি বাড়ির দেখাশোনা করতে হবে ওর মতো করে, এভাবে বাচ্চার মধ্যে মূল্যবোধ গড়ে তুলুন।

বাস্তবের সাথে পরিচিত হতে দিন

একজন অভিভাবক হিসেবে নিজের আবেগকে সংযত রেখে বাচ্চাকে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করুন যে বাস্তব কতটা জটিল হয় । ভিন্ন ধরণের উদাহরণ দিয়ে বোঝাবেন, তাতে আপনার সন্তানের বুঝতে সুবিধা হবে।

sontanke sabolombi kore tolar panchti tips pinit button

Image: Shutterstock

নিরাপত্তা কি তা বুঝতে সাহায্য করুন

ছোটো থেকেই ছেলে হোক কিংবা মেয়ে উভয়কেই নিজের নিরাপত্তা কিভাবে রাখতে হয় বা কেন রাখতে হয় তা বুঝিয়ে বলুন। আপনার সন্তান যখন প্রথম স্কুলে যাবে তার আগেই যেন এ সম্পর্কে তার ধারণা থাকে। তাই যখন থেকে বাচ্চা একটু একটু করে সবকিছু বুঝতে শিখবে তখন থেকেই দেহের কোন অংশগুলি প্রাইভেট পার্টস, তাতে কেন হাত দিতে নেই বা কেউ হাত দিলে কি করতে হয় এগুলি সম্পর্কে ধারণা প্রদান করুন।

সন্তানের কথা শুনুন

যখন আপনার সন্তান অল্প অল্প বুঝতে শিখবে ও কথা বলতে শুরু করবে , তখন থেকেই সে ধীরে ধীরে তার মতামত প্রকাশ করতে শুরু করবে। তাই তার কথার গুরুত্ব দেবেন যতটা প্রয়োজন সবসময় ছোটো বলে তার মতামতকে অবহেলা করবেন না। এটি আপনার সন্তানের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে।

উপরের টিপসগুলি অবশ্যই মনে রেখে তা নিজের জীবনে ব্যবহার করুন , দেখবেন আপনার সন্তান ছোটো থেকেই সাবলম্বী হয়ে উঠছে এবং ভবিষ্যতে পরনির্ভরশীলতা জনিত কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না।

Was this article helpful?
Like buttonDislike button
disqus_img

Community Experiences

Join the conversation and become a part of our nurturing community! Share your stories, experiences, and insights to connect with fellow parents.