শিশুদের ত্বক এমনিতেই কোমল ও মোলায়েম হয়, তাই এই কোমলতাকে বজায় রাখার জন্য চাই উপযুক্ত বডি লোশন। বাচ্চাদের জন্য বাজারে অনেক ব্র্যান্ডরই বডি লোশন পাওয়া যায়, কিন্তু আপনার দায়িত্ব আপনার ছোট্ট সোনার জন্য সঠিক বডি লোশনটি বেছে নেওয়া। আপনার বাচ্চার স্পর্শকাতর ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য আমাদের এই প্রতিবেদনে রইলো কিছু বাজার সেরা বডি লোশন।
শিশুদের জন্য 12টি সেরা বডি লোশনের তালিকা
1. সেবামেড বেবি লোশন
জার্মানিতে তৈরী হওয়া এই বেবি লোশন আপনার শিশুর স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য উপযুক্ত। নিয়মিত শিশুকে স্নান করানোর পর ও শিশু ঘুমোতে যাওয়ার আগে এটি মাখালে ত্বক থাকবে চকচকে ও মসৃন।
সুবিধা
- প্যারাবেন এবং ক্ষতিকারক রাসায়নিক মুক্ত
- ত্বকের কোমলতা বজায় রাখে
- PH এর মাত্রা সীমিত
- ত্বক বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষিত।
2. চিকো বেবি মোমেন্টস বডি লোশন
আমন্ড দুধ, ভিটামিন ই ও গ্লিসারিন যুক্ত এই বডি লোশন আপনার শিশুর ত্বককে মোলায়েম রাখে। এই বেবি বডি লোশনটি রোমকূপকে বন্ধ করে না এবং ত্বক বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষিত।
সুবিধা
- চিটচিটে নয়
- প্যারাবেন এবং ক্ষতিকারক রাসায়নিক মুক্ত
- ত্বক বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষিত
- গন্ধটি অ্যালার্জেন মুক্ত।
3. মামাআর্থ ডেইলি বেবি লোশন
এশিয়ার প্রথম মেডসেফ সার্টিফাইড টক্সিন মুক্ত এই ব্র্যান্ডের লোশনটি ত্বককে রাখে সতেজ। ত্বক বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষিত এই বেবি লোশন সেনসিটিভ ত্বকের বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও উপযোগী।
সুবিধা
- সদ্যজাত শিশুকেও এটি মাখানো যায়
- PH সীমিত
- এশিয়ার প্রথম মেডসেফ সার্টিফাইড টক্সিন মুক্ত ব্র্যান্ড
- প্যারাবেন এবং ক্ষতিকারক রাসায়নিক মুক্ত
4. জনসন’স বেবি লোশন
এই জনপ্রিয় ব্র্যান্ডটির লোশনটি আপনার শিশুকে মাখানোর পর ত্বককে ২৪ঘন্টা পর্যন্ত মোলায়েম রাখে। নানা ধরণের গাছের তেল দিয়ে তৈরী এই বডি লোশনটি ডাক্তারদের খুবই পছন্দের।
সুবিধা
- খুবই মাইল্ড প্রকৃতির
- PH-এর মাত্রা সীমিত
- হাইপোঅ্যালার্জিনিক
- প্যারাবেন এবং ক্ষতিকারক রাসায়নিক মুক্ত
5. সেটাফিল বেবি লোশন
শিয়া বাটার দিয়ে তৈরী এই বডি লোশন আপনার শিশুর ত্বককে রাখে চকচকে ও মসৃণ। সদ্যজাত শিশুকেও এটি মাখানো যায়। ডাক্তারদের কাছে এটি একটি নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ড।
সুবিধা
- ত্বক বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষিত
- সদ্যজাত শিশুকেও এটি মাখানো যায়
- প্যারাবেন এবং ক্ষতিকারক রাসায়নিক মুক্ত
- হাইপোঅ্যালার্জিনিক।
6. মি মি বেবি লোশন
ত্বক বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষিত মাইল্ড প্রকৃতির এই বেবি বডি লোশনকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনার শিশুর ত্বক শুষে নিতে পারে ও ত্বককে মোলায়েম রাখে।
সুবিধা
- মাইল্ড প্রকৃতির
- সদ্যজাত শিশুর জন্য উপযোগী
- ত্বক নরম রাখে
- ত্বক বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষিত।
7. বেবি ডাভ রিচ ময়েশ্চার নারিশিং বেবি লোশন
হাইপোঅ্যালার্জিনিক এই বেবি বডি লোশন আপনার সোনাকে মাখানোর ২৪ঘন্টা পর্যন্ত ত্বককে কোমল রাখে। সদ্যজাত শিশুকে মাখানোর জন্য উপযোগী।
সুবিধা
- ত্বক বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষিত
- হাইপোঅ্যালার্জিনিক
- PH-এর মাত্রা সীমিত
- ব্র্যান্ডটি অতি পরিচিত।
8. অ্যাভিনো ডেইলি ময়েশ্চারাইজিং লোশন
ওটসের নির্যাসযুক্ত এই বডি লোশন আপনার বাচ্চার যদি সেনসিটিভ ত্বক হয়, তাহলেও মাখাতে পারবেন এটি। ২৪ঘন্টা পর্যন্ত এটি শিশুর ত্বককে সুরক্ষা প্রদান করে।
সুবিধা
- কৃত্তিম গন্ধ ও রঙবিহীন
- ক্ষতিকারক রাসায়নিক মুক্ত
- হাইপোঅ্যালার্জিনিক।
অসুবিধা
- দাম অন্য প্রোডাক্টের তুলনায় বেশি।
9. মাদারকেয়ার অল উই নো বেবি লোশন
শিশুর ত্বককে কোমলতা প্রদান করে এই বডি লোশন। এটি মাইল্ড প্রকতির হওয়ায় আপনি এটি আপনার সোনাকে নিয়মিত মাখাতে পারবেন।
সুবিধা
- ক্ষতিকারক রাসায়নিক মুক্ত
- PH-এর মাত্রা সীমিত
- শিশুর ত্বককে মোলায়েম রাখে।
অসুবিধা
- ব্র্যান্ডটি পরিচিত নয়
- দাম অন্য প্রোডাক্টের তুলনায় বেশি।
10. মাদার স্পর্শ বেবি লোশন
অরগ্যানিক এই বডি লোশন প্রাকৃতিক নির্যাস দিয়ে তৈরী। আপনার শিশুর ত্বককে করে তোলে মসৃন ও চকচকে। ত্বকের অল্প ধরণের চুলকানি থেকেও রক্ষা করে।
সুবিধা
- প্যারাবেন এবং ক্ষতিকারক রাসায়নিক মুক্ত
- প্রাকৃতিক নির্যাস দিয়ে তৈরী
- প্রতিদিন ব্যবহার করা যায়।
অসুবিধা
- ব্র্যান্ডটি পরিচিত নয়।
11. সফটসেন্স বেবি ময়েশ্চারাইজিং লোশন
শিয়া বাটার ও দুধের গুণ সম্পন্ন এই বেবি বডি লোশন আপনার সোনার ত্বককে অনেকক্ষণ পর্যন্ত মোলায়েম রাখতে সাহায্য করে। কমলা লেবুর এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে তৈরী এটি।
সুবিধা
- গ্লিসারিন যুক্ত
- কমলা লেবুর এসেনশিয়াল অয়েল আছে
- চিটচিটে নয়
- রোমকূপকে বন্ধ করে না।
12. পতাঞ্জলি শিশু কেয়ার বডি লোশন
মাইল্ড প্রকৃতির এই বডি লোশন ত্বককে মোলায়েম রাখতে সাহায্য করে। প্রাকৃতিক নির্যাস দিয়ে তৈরী এই লোশন আপনার শিশুর ত্বককে রাখবে সুরক্ষিত।
সুবিধা
- প্রাকৃতিক নির্যাস দিয়ে তৈরী
- মাইল্ড ধরণের
- ক্ষতিকারক রাসায়নিক মুক্ত।
অসুবিধা
- সব সময় বাজারে উপলদ্ধ নয়।
শিশুর লোশন কেনার সময় কি কি বিষয় মনে রাখবেন ?
- আপনার শিশুর জন্য লোশন কেনার সময় অবশ্যই দেখে নেবেন যেন সেটি রাসায়নিক মুক্ত হয়।
- লোশনটি যেন উগ্র গন্ধযুক্ত না হয়।
- প্রাকৃতিক নির্যাস দিয়ে তৈরী হলে ভালো হয়।
- কোনোরকম ক্ষার জাতীয় পদার্থ যেন না থাকে।
- শিশুকে কিছু মাখানোর আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।
- বাজারে যেমন অনেক শিশুদের জন্য নানাধরণের লোশন যেমন পাওয়া যায় তেমনি বিক্রেতারও ছড়াছড়ি, তাই অবশ্যই অনুমোদিত বিক্রেতার থেকে কিনবেন, নাহলে নকল জিনিস পাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।
শিশুদের ত্বক খুবই স্পর্শকাতর হয়, এটি অবশ্যই মাথায় রাখবেন লোশন কেনার সময়। আপনারই হাতে আপনার সোনার যত্নের ভার, তাই যাচাই করে লোশন কিনুন ও তা সঠিক ভাবে ব্যবহার করুন। সন্তানের যত্ন নিন ও নিজেও সুস্থ থাকুন।